সর্বশেষ :
যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া শিক্ষার্থীরা এ্যাসাইলাম চাইলেই বহিস্কার!

যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া শিক্ষার্থীরা এ্যাসাইলাম চাইলেই বহিস্কার!

আন্তজার্তিক ডেস্ক

স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাজ্যে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় (এসাইলাম) চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সেদেশের সরকার।

ব্রিটিশ সরকার সতর্ক করে জানিয়েছে, স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা যদি অবৈধভাবে এ্যাসাইলাম আবেদন করেন, তা আর মেনে নেওয়া হবে না।

সম্প্রতি বৃটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার বলেছেন, অহেতুক এ্যাসাইলাম চাইলে শিক্ষার্থীকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।

হোম অফিস জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোর তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বার্তাগুলো সেইসব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য, যারা তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন এবং রাজনৈতিক আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো বার্তাগুলোতে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে কোনও ছাড় না দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এসব বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আপনি যদি এমন কোনও রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন যা ভিত্তিহীন,তবে সেটা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে।’

অন্য এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার যেকোনও অনুরোধ কঠোরভাবে যাচাই করা হবে। যদি আপনি মানদণ্ড পূরণ করতে না পারেন, তাহলে কোনও সহায়তাই পাবেন না।

এছাড়াও বলা হয়েছে, ‘যদি আপনার যুক্তরাজ্যে থাকার কোনও আইনি অধিকার না থাকে, তবে আপনাকে অবশ্যই এই দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। যদি না যান, আমরা আপনাকে অপসারণ করবো।’

হোম অফিস জানায়, জুন পর্যন্ত এক বছরে ১ লাখ ১১ হাজার এ্যাসাইলাম আবেদন এসেছে; এর মধ্যে ১৪ হাজার ৮০০ জনই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আসা শিক্ষার্থী। তবে বেশিরভাগ আবেদন ভিত্তিহীন।

সরকার টেক্সট মেসেজ ও ই-মেইলের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে সতর্ক করেছে।

বার্তায় বলা হয়েছে, যদি ভিসা মেয়াদ শেষের পর বা আগে ভিত্তিহীন এ্যাসাইলাম আবেদন করা হয়, তা দ্রুত ও কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে। বৈধ থাকার অধিকার না থাকলে দেশ ছাড়তে হবে, না হলে জোরপূর্বক বহিষ্কার করা হবে।

ইয়েভেট কুপার আরও বলেন, ’অনেক শিক্ষার্থী বছরের পর বছর এ্যাসাইলাম প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ও হোটেলগুলোতে চাপ তৈরি হচ্ছে।’

তিনি নিশ্চিত করেছেন, প্রকৃত শরণার্থীদের সহায়তা করা হবে, কিন্তু যাদের দেশে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি, তারা শিক্ষার্থী ভিসা শেষে আশ্রয় চাইতে পারবে না।

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা শেষে থাকার সর্বোচ্চ সময়সীমা দুই বছর থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কঠোর নিয়ম মানতে হবে; নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হলে তারা নতুন ভিসা স্পন্সর করার সুযোগও হারাতে পারে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff